 
								
                            
                       চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের nine জন শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে, যা দেশের সামরিক শুদ্ধিকরণের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই পদক্ষেপকে তারা কার্যত দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান সামরিক অভিযান的一 অংশ হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই পদক্ষেপটি কেবল দুর্নীতি মুক্ত করার নয়, বরং রাজনীতি ও সংগঠনের শুদ্ধিকরণেরও সূচনা নির্দেশ করতে পারে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই নয়জন আপাতত মারাত্মক আর্থিক অপরাধের সন্দেহে রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই তিন তারকা জেনারেল এবং পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফোরামের সদস্য। সংস্থাটির মতে, এই বরখাস্তের সিদ্ধান্তটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি কঠোর অভিযানের অংশ, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা হয়তো রাজনীতি শুদ্ধিকরণের ধারাও হতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সব জেনারেলরা দলের শৃঙ্খলা লঙ্ঘন এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী। তারা এখন সামরিক আদালতের বিচারে আছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযানের সূত্রপাত চলতি বছরের জুলাই মাসে, যখন সামরিক বাহিনীতে দূষিত প্রভাব ও অপবিত্রতা দূর করতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়। এর আগে, অস্ত্রের শুদ্ধিকরণের লক্ষ্য্যে চলা এই অভিযানে সাবেক দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীও তাদের শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ইতিমধ্যেই শাস্তি পেয়েছেন।
অর্থনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শি জিনপিং এর এই শুদ্ধিকরণ উদ্যোগ আসলে নিজ ক্ষমতা প্রমাণের একটি চেষ্টাই। তারা মনে করেন, এই প্রচেষ্টা পার্টিকে অন্তর থেকে পরিচ্ছন্ন করে গড়ে তুলতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার মনোভাবকে দৃঢ় করতে পারে।
বিশ্লেষকরা আরো উল্লেখ করেছেন, এই ধরনের শুদ্ধিকরণ কার্যক্রম অপ্রতিরোধ্যভাবে চলবে, যাতে করে শক্তিশালী, সুসংগঠিত ও আরেকটু অধিক শৃঙ্খলিত সামরিক বাহিনী গড়ে উঠতে পারে। এখন দর্শকদের নজর থাকবে ২০ শে অক্টোবরের দলীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে কোন মহল বা নেতারা যোগ দেন এবং তার মাধ্যমে এই আন্দোলনের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বোঝা যাবে।
Leave a Reply